ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি অলৌকিক ক্ষমতার দাবীদার, তান্ত্রিক এবং জ্যোতিষীদের জন্য একটি বিশেষ চ্যালেঞ্জের আয়োজন করেছে। যারা নিজেদের অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী বা ভবিষ্যদ্বাণী করতে সক্ষম বলে দাবি করেন, তাদের জন্য সমিতির পক্ষ থেকে
                        ৫০ লক্ষ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এই চ্যালেঞ্জটি প্রথম ঘোষণা করেছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা প্রবীর ঘোষ। তার বক্তব্য ছিল, যদি কেউ অলৌকিক ক্ষমতার সত্যতা প্রমাণ করতে পারেন তবে তাদের জন্য এই পুরস্কার প্রাপ্য হবে। তবে আজ
                        পর্যন্ত কেউই এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেননি বা গ্রহণ করলেও সফলতার প্রমাণ দিতে পারেননি।
                        চ্যালেঞ্জের উদ্দেশ্য:
                       প্রবীর ঘোষ এই চ্যালেঞ্জ প্রবর্তনের মাধ্যমে অলৌকিকতা এবং অন্ধবিশ্বাসের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের মধ্যে যুক্তিবোধ ও বৈজ্ঞানিক চেতনার প্রসার ঘটাতে চেয়েছিলেন। অনেকেই নিজেদের ভাগ্যবিচার ও সমস্যা সমাধানের জন্য জ্যোতিষ, তান্ত্রিক এবং অন্যান্য অলৌকিক
                       চর্চার উপর নির্ভর করে থাকেন, যা কিছু ক্ষেত্রে মানুষের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। তাই যুক্তিবাদী সমিতির এই চ্যালেঞ্জ অন্ধবিশ্বাসের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে দূরে সরিয়ে বিজ্ঞানমনস্কতায় উদ্বুদ্ধ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

                       চ্যালেঞ্জের বর্তমান অবস্থান: প্রবীর ঘোষের মৃত্যুর পরও এই চ্যালেঞ্জটি অব্যাহত আছে। ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি বর্তমানে এই চ্যালেঞ্জের ধারাবাহিকতা রক্ষা করছে, এবং তাদের বক্তব্য অনুসারে এই চ্যালেঞ্জ কোনো অলৌকিক ক্ষমতার দাবীদারকে নিজ ক্ষমতা প্রমাণ করার সুযোগ দেয়।
                        আজও যদি কেউ এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সফল হন, তবে তিনি নগদ ৫০ লক্ষ টাকার পুরস্কার পাবেন এবং তাঁর হাতেই ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সমাপ্তি ঘটবে। চ্যালেঞ্জের গুরুত্ব: ভারতের মতো একটি দেশে, যেখানে মানুষের মধ্যে অলৌকিকতা এবং জ্যোতিষচর্চার প্রতি অন্ধবিশ্বাস প্রবল, এই চ্যালেঞ্জ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান এবং যুক্তির চেতনাকে উজ্জীবিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই ধরনের উদ্যোগ মানুষকে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং যুক্তিনির্ভর চিন্তার প্রতি আকৃষ্ট করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে, যা একটি প্রগতিশীল সমাজ গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।