ভারতের জাতীয় পতাকার অসম্মানে নিন্দার ঝড়, ত্রিপুরার হোটেল ব্যবসায়ীদের কঠোর সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি বাংলাদেশে ভারতের জাতীয় পতাকাকে অসম্মান করার একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে, যা ভারতসহ আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে এমন কিছু কর্মকাণ্ডের অভিযোগ উঠেছে যেখানে শিক্ষার্থীদের ভারতের জাতীয় পতাকা মাটিতে বিছিয়ে তার ওপর দিয়ে হাঁটতে বাধ্য করা হচ্ছে। এই কর্মকাণ্ডকে শুধু ভারতের পতাকার নয়, বরং ভারতের প্রতি একটি কূটনৈতিক অবমাননা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভারতবিদ্বেষী এই কার্যকলাপের জেরে ভারতের বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভারতবাসীদের একাংশ দাবি করেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সমস্ত ধরনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হোক।
শিলিগুড়ির কিছু চিকিৎসক ইতিমধ্যেই এক অভিনব সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তাদের ঘোষণা ছিল, বাংলাদেশের রোগীদের চিকিৎসা নিতে হলে ভারতের জাতীয় পতাকাকে প্রণাম করতে হবে। এবার প্রতিবাদের ধারাবাহিকতায় ত্রিপুরার হোটেল ব্যবসায়ীরা একটি কঠোর নির্দেশিকা জারি করেছেন।
ত্রিপুরার হোটেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর চলমান অত্যাচারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এবং ভারতের জাতীয় পতাকার অসম্মানের প্রতিবাদে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, এখন থেকে বাংলাদেশের কোনো নাগরিককে ত্রিপুরার কোনো হোটেলে সেবা প্রদান করা হবে না।
এই সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের পর্যটকদের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। পর্যটন শিল্পে বড় প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও এই ঘটনা নতুন সংকট তৈরি করতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড়
ভারতের জাতীয় পতাকার প্রতি এমন অসম্মানজনক আচরণ আন্তর্জাতিক মহলেও নিন্দিত হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ড কেবল দুই দেশের সম্পর্ক নষ্ট করবে না, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকেও প্রভাবিত করতে পারে।
ভারতবাসীরা এই পরিস্থিতিতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছেন এবং ভারতের পতাকার সম্মান রক্ষায় আরো কঠোর নীতির আহ্বান জানিয়েছেন। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সমাধান আসবে, নাকি উত্তেজনা আরও বাড়বে, তা সময়ই বলে দেবে।